আলীকদম, বান্দরবান।
ভ্রমণের সময়: ৫ জুলাই ২০১৮।।
ভ্রমণের সঙ্গী : ২ জন
গাইড : মেনাঙ লিং (উনার সাথে পুরো পথ তাতেই মনে হচ্ছিলো কোরিয়ান মুভি দেখতেসি সাবটাইটেল ছাড়া )
ভ্রমণের সময়: ৫ জুলাই ২০১৮।।
ভ্রমণের সঙ্গী : ২ জন
গাইড : মেনাঙ লিং (উনার সাথে পুরো পথ তাতেই মনে হচ্ছিলো কোরিয়ান মুভি দেখতেসি সাবটাইটেল ছাড়া )
যাতায়াত:
যাওয়া :ঢাকা ->আলীকদম->থিংকুপাড়া আর্মি ক্যাম্প (নাম এন্ট্রি) ->১৭ কি,মি->আদুপাড়া - >মেম্বারপাড়া->থুকঅ পাড়া ->ব্যাঙ ঝিরি->কাখই পাড়া।পাড়ার কাছে পাবেন দানবীয় দামতুয়া ঝর্না।।
আসা : আদুপাড়া -> ডিম্ পাহাড় -> থিংকুপাড়া আর্মি ক্যাম্প ->আলীকদম -ঢাকা
যাওয়া :ঢাকা ->আলীকদম->থিংকুপাড়া আর্মি ক্যাম্প (নাম এন্ট্রি) ->১৭ কি,মি->আদুপাড়া - >মেম্বারপাড়া->থুকঅ পাড়া ->ব্যাঙ ঝিরি->কাখই পাড়া।পাড়ার কাছে পাবেন দানবীয় দামতুয়া ঝর্না।।
আসা : আদুপাড়া -> ডিম্ পাহাড় -> থিংকুপাড়া আর্মি ক্যাম্প ->আলীকদম -ঢাকা
(১৭ কিলো থেকে গাইড নিয়ে তুক'অ দামতুয়া ট্রেকিং করে আসতে প্রায় ৫/৬++ ঘন্টা লাগবে,যেহেতু আমরা ২ জন ছিলাম আমরা অনেক তাড়াতাড়ি ট্রেক কমপ্লিট করতে পেরেছি ।হাটার সময় প্রয়োজনীয় পানি আর শুখনা খাবার সাথে নিয়ে নিবেন,আমরা না খেয়ে ট্রেক করতে অনেক অসুবিধা পোহাতে হয়েছে )
আমরা আদুপাড়া-১১:৩০ এর কিছুক্ষন পরে পৌছাই মোটরসাইকেল থেকে নেমেই আমরা গাইড খুজি ও পরে গাইড নেই গাইডের নাম মেনাঙ লিং। তো মেনাঙ লিং দাদাকে নিয়ে আদু পাড়া থেকে কাখই পাড়ার কাছে তুক-অ ঝর্না দেখার জন্য ১১:৫০+ মিনিটে রওনা হই। আমাদের দাদা এমন যে উং অং চুং ছাড়া আমি কিছুই বুঝি নাই , তাকে যতই বলি আর কত্তোক্ষন সে বলে চিউং অং মং ?? যাই হোক কোরিয়ান দাদা র সাথে তাল মিলাতে মিলাতে আমরা ২.২০ এর পর কাখই পাড়ায় পৌছাই এবং ঝর্নায় চলে যাই। সমস্যা হলো এখানে বিগত ২ দিনের বৃষ্টি ও আদুপাড়া থেকে নামা বৃষ্টি ট্রেইলের অবস্থানই পরিবর্তন করে দিছে মেম্বার পাড়া থেকে কাখই পাড়া আসতে ব্যাঙ ঝিড়িতে অনেকবার এপাশ থেকে ওপাশ যেতে হয়েছে আমাদের পানিও খুব ভালো ছিলো, পানির স্রোতও ভালো ছিলো কিন্তু পাথর না থাকায় কোনো সমস্যাই হয়নি পাড় হতে ঝর্নায় যাওয়া শেষের ঝিরিতে গেলাম আটকা খেয়ে পাড় হতে গিয়ে আমার বন্ধু কাখাই পাড়া থেকে ব্যংঝিরি র ঢালে পরে গিয়ে অনেক বড় মারাক্তক ইঞ্জুরির হাত থেকে রক্ষা পেলো। এরপর খুব দ্রুত ঝর্নায় চলে গেলাম গিয়ে তো আমি বেহুস 😱😱 এ আমি কি দেখি?? বিশাল দানবের সামনে আমি! কিছুক্ষনের জন্য আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম, পরে হালকা বৃষ্টি মাথা নিয়েই মোবাইল টা বের করে আগে ঝর্নাটার ভিডিও করলাম। এরপর ২/১ টা ছবি তুলেই দৌড়...
ফেরার পথে দানবীয় ঝর্ণা র কামরূপ কামাখ্যা ব্যাখা করতে করতে আমরা ০৪:৩০ এর দিকে আদুপাড়া পৌঁছাই । তখন আমাদের যে মোটর বাইক দিয়ে এনেছে জাফর উনাকে বললাম চলেন মেঘের চূড়ায় স্নান করে আসি সাথে ডিম্ পাহাড় এ সন্ধ্যা টা কাটাবো , সে যদিও নিমরাজি তবু জোর করে রাজি করালাম এরপর আরো ৬ কিঃমিঃ গিয়ে আলীকদম এর সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় মেঘের সাথে স্নান করে ,ডিম্ পাহাড় এ গিয়ে ডিম্ আর চা খেলাম সন্ধ্যা দেখতে দেখতে । এইদিকে আমাদের থিংকুপাড়ার আর্মি অফিসার ফোন দিতে দিতে অস্থির,পরে অবশ্য আমরা দেরি হবার জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি ফোন এ। এরপর আলীকদম এসে আমরা শ্যামলী তে টিকেট কেটে ঢাকা র উদেশ্যে রওনা দেই ।
আমাদের ২জনের খরচের হিসাব টা হলো
ঢাকা-আলীকদম : ৮৫০*২=১৭০০/- (শ্যামলী ওর হানিফ )
আলিকদম-আদুপাড়া মোটরসাইকেল=৩০০*২ =৬০০
গাইড ফি=৬০০/- 😊
ঢাকা-আলীকদম : ৮৫০*২=১৭০০/- (শ্যামলী ওর হানিফ )
আলিকদম-আদুপাড়া মোটরসাইকেল=৩০০*২ =৬০০
গাইড ফি=৬০০/- 😊
সেই হিসেবে আমাদের মোট খরচ হয় ২৯০০/- টাকা + খাবার খরচ। খাবার খরচ আপনি যেভাবে করতে চান ইচ্ছে। বড় গ্রুপ হলে ২৫০০-- এ এ ট্যুর দিয়ে আশা সম্ভব
বি.দ্র : আমরা কোনো ময়লা পাই নি দামতুয়া ঝর্ণা তে , আমাদের এটা অনেক ভালো লেগেছে ।আশা করবো যারা যাবে তারাও কেউ ময়লা ফালাবে না